আটিয়া হতে টাঙ্গাইল
নূরুল ইসলাম মাষ্টার
রূপসী প্রকাশনী
নূরুল ইসলাম মাষ্টার
রূপসী প্রকাশনী
টাঙ্গাইল।
প্রথম প্রকাশ ঃ ২০০৯ইং
অলংকরনঃ মোঃ শামসুজ্জামান (পাশা)
কম্পোজঃ মোঃ নূর কুতুবুল আলম (পলাশ)
প্রচ্ছদ ঃ মিন্টু, বাঁধাইঃ ওতুল
ই-মেইলঃ rupushe@yahoo.com/titanictg@hotmail.com
উৎসর্গ
সারা বাংলায় ছড়িয়ে থাকা বুজর্গানে দীন ওলিয়ে কামেল, সব তরিকার ভক্ত, আশেকান, পীর, মুর্শিদ, শিষ্য, দরবেশ, ফকির, আল্লাহ্ধসঢ়; ও তার নবীর অনুরক্তদের ও আপামর জনগনের করকমলে।
লেখকের আরও কিছু প্রকাশিত গ্রন্থ ঃ
* টুকটাক
* রূপসী ললনা
* বঙ্গ রত্ন শামছুল হক (১)
* হাজী বাড়ির ইতিহাস
* কমল কাঞ্চন
প্রকাশের পথে ঃ
* বঙ্গ রত্ন শামছুল হক (২)
* ছোটদের ভাসানী
* ছোটদের শেখ মুজিব
* ছোটদের জিয়া
* বরনীয় লোকের স্বরনীয় বানী
* রঙ্গ রস
প্রকাশক ঃ
আটিয়া দরগা কমিটির সকল মাননীয় কর্মকর্তা ও খাদেম বৃন্দ।
প্রথম প্রকাশ ঃ ২০০৯ইং
অলংকরনঃ মোঃ শামসুজ্জামান (পাশা)
কম্পোজঃ মোঃ নূর কুতুবুল আলম (পলাশ)
প্রচ্ছদ ঃ মিন্টু, বাঁধাইঃ ওতুল
ই-মেইলঃ rupushe@yahoo.com/titanictg@hotmail.com
উৎসর্গ
সারা বাংলায় ছড়িয়ে থাকা বুজর্গানে দীন ওলিয়ে কামেল, সব তরিকার ভক্ত, আশেকান, পীর, মুর্শিদ, শিষ্য, দরবেশ, ফকির, আল্লাহ্ধসঢ়; ও তার নবীর অনুরক্তদের ও আপামর জনগনের করকমলে।
লেখকের আরও কিছু প্রকাশিত গ্রন্থ ঃ
* টুকটাক
* রূপসী ললনা
* বঙ্গ রত্ন শামছুল হক (১)
* হাজী বাড়ির ইতিহাস
* কমল কাঞ্চন
প্রকাশের পথে ঃ
* বঙ্গ রত্ন শামছুল হক (২)
* ছোটদের ভাসানী
* ছোটদের শেখ মুজিব
* ছোটদের জিয়া
* বরনীয় লোকের স্বরনীয় বানী
* রঙ্গ রস
প্রকাশক ঃ
আটিয়া দরগা কমিটির সকল মাননীয় কর্মকর্তা ও খাদেম বৃন্দ।
আটিয়ার ইতিহাস
শাহান শাহ্ আদম কাশ্মীরী (র:)। সঙ্গত কারণেই আটিয়াকে জানার আগে এ তাপস কুল শিরোমনিকে জানা দরকার। গ্রন্থ খানির ভিতর এ বিষয়ে যা বর্ণনা করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য মাত্র।
ভূমিকাঃ আটিয়া একটি ইতিহাস প্রসিদ্ধ প্রাচীন জনপদ। এর গোড়ার ইতিহাস অনেক পুরান এবং অস্বচ্ছ। প্রামাণ্য দলিল ছাড়া তা জানারও উপায় নেই। রাজকীয় যৎ সামান্য দলিলপত্র, স্মৃতি চিহ্ন, ধ্বংসাবশেষ জনশ্রুতিতে যে আদি কথা জানা যায় তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। ঐতিহাসিকগণের সংগৃহিত সরকারি কাগজপত্রে পাল, সেন, দেব ও সুলতানি আমলের ইতিহাসের ফাঁক ফোঁকরে এর পরিচয় সামান্যই মেলে। যদিও স্বল্প পরিসরে মেলে তথাপিও ঐতিহাসিক মূল্যবোধের দিক দিয়ে অত্যন্ত উঁচু মানের। আজ টাঙ্গাইল বাংলাদেশের সব দিক দিয়ে বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী। কিন্তু এটা সত্য যে আটিয়ার জন্ম না হলে আধুনিক টাঙ্গাইলের জন্ম হতো কিনা সন্দেহ। যিনি ইতিহাসের মানদন্ডে একে অন্ধ গলি থেকে টেনে এনে জন সমাজে দাড়ঁ করিয়েছেন তিনি হলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ওলিয়ে কামেল, আলি বাবা হযরত আদম কাশ্মীরী (রাঃ)। তিনি কাশ্মীর থেকে আগত একজন বিশিষ্ট ইসলাম প্রচারক, সাধক, পীরে কামেল ও আউলিয়া দরবেশ ছিলেন। জনশ্রুতি আছে তিনি ছিলেন কাশ্মীর রাজ্যের বাদশাহ। রাজ্যপাট পরিত্যাগ করে এ দরবেশি রূপ ধারণ করে সুদূর আটিয়া পরগণায় এসে আস্তানা গাড়েন তা তিনিই ভাল জানেন। যতটুকু প্রমাণ মেলে তাতে ১৪৪২ হতে ১৪৮০ সালের মধ্যে তিনি আটিয়াতে শুভাগমন করেন। তার জন্ম তারিখ জানা না গেলেও তার মাজারে ঢোকার প্রধান গেইটের উপরে তার মৃতু্য তারিখ ৯১৩ হিজরীর ৭ জমাদিও সানি। আগে এ সন তারিখ ফার্সি লিপিতে শিপিবদ্ধ করা ছিল। এর পাঠোদ্ধার করে বাংলায় উৎকীর্ণ করা হয়েছে। পরে আদম কাশ্মীরী (র:) নামের আগে কেন শাহান শাহ্ধসঢ়; লেখা হয় তা আটিয়া নিবাসী প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ মরহুম মাইন উদ্দীন বি, এ, বিটি, তার লিখিত প্রবন্ধে প্রকাশ করেছেন। এটা সুনামধন্য করটিয়ার জমিদারদের দেওয়া নাম তবে মতভেদ আছে এতে। আগে লেখা হতো শাহে শাহান অর্থাৎ দুনিয়ার বাদশা। পরে লোক মুখে উচ্চারিত হতে হতে শাহান শাহ্ধসঢ়; রূপ ধারন করেছে নামটি। বাবা কথাটির ব্যাখ্যাও তিনিই দিয়েছেন। আদম কাশ্মীরী (রঃ) করটিয়া জমিদার বংশের পূর্ব পুরুষদের পীর এবং আটিয়া পরগণার প্রতিষ্ঠাতা প্রশাসক। পরে এ মহান ব্যক্তির বদৌলতে জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা সাঈদ খান পন্নীকে তা দান করে যান। তিনি বলেছেন বাংলা দেশের মানুষ পীর মুশর্ীদদের খুব ইজ্জত করার জন্য বাবা কথাটি ব্যবহার করে থাকে। তাই তাঁর পূর্ণ নাম হল আলি বাবা হজরত শাহান শাহ আদম কাশ্মীরী (র:)। বাবা কথাটির আগে কেন আলি শব্দটি ব্যবহৃত হয় তার উল্লেখ তিনি করেননি। এবং তাঁর পান্ডুলিপিও আজ আর পাওয়ার উপায় নেই। তিনি জীবিত থাকা কালে এ সম্পর্কে বলেন টাঙ্গাইলের মাননীয় জেলা পরিষদ সচিব জনাব বাকের সাহেব আটিয়ার প্রাচীন ইতিহাস লেখার প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা একবার আহবান করেন এবং তাতে তাঁর গবেষণা ধমর্ী লেখাই প্রথম স্থান অধিকার করে এবং পুরস্কার প্রাপ্ত হন। তারপর অযত্নে অবহেলায় কোথায় প্রবন্ধটি হারিয়ে গেছে আজ আর তার হদিস মেলে না।
আলি বাবা হজরত শাহান শাহ্ধসঢ়; আদম কাশ্মীরী (র:) এর ন্যায়পরায়নতা, স্নেহ বৎসল আচরণ, সদাহাস্য মুখ মন্ডল, প্রশান্ত সৌম কান্ড মূর্তি সবের্াপরি দরবেশ তুল্য জীবন ধারন ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে জন সাধারণ তো বটেই তদানীন্তন শাসক বর্গেরও সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে। সেই সুবাদেই মনে হয় সুলতানি আমলে তিনি বিখ্যাত আতিয়া বা আটিয়া পরগনার জায়গীর লাভ করেন। অর্থ বিত্ত ও ক্ষমতার প্রতি তার কোন মোহ ছিলনা। ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে প্রজাকুলের হিত সাধনই ছিল তাঁর জীবনের ব্রত। সেই সাথে শান্তির ধর্ম ইসলামের কার্যাবলী প্রচার করা। তাঁর সম্পর্কে অনেক লৌকিক ও অলৌকিক ঘটনাবলি এখনও শোনা যায়। মুসলমান ও হিন্দু উভয় সমপ্রদায়ের লোকজন তাঁকে সমান ভাবে শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। তাই বিভিন্ন সময়ে বাংলায় রাজশক্তির উত্থান পতন ঘটলেও লোকমান্য আলি বাবা হজরত শাহান শাহ আদম কাশ্মীরী (র:) পরগণাদারী ঠিকই থাকত। উপরের পরিবর্তন হলেও তাঁর পরিবর্তন হত না। শোনা যায় মুঘল সম্রাট মহামতি আকবর যখন দিল্লীর সিংহাসনে সমাসীন হন তখন কৌশলী, বুদ্ধিমান ও ক্ষমতাধর ইসলাম খাঁকে বাংলার সুবেদার করে সুদূর বাংলায় পাঠান। লোক মুখে তার গুণ কীর্তন শুনে তাঁকে অত্যন্ত সমাদর করেন এবং উপযুক্ত খেলাত প্রদান করেন। তখন হজরত শাহান শাহ আদম কাশ্মীরী (র:) ছিলেন অশতিপর বৃদ্ধ। ধর্ম মার্গে উচ্চাসন লাভের জন্য তাঁকে ইতিহাস বেত্তাগণ সিলেটের হজরত শাহ জালালের (রঃ) সমকক্ষ মনে করেন। এখনও দেশের বিভিন্ন স্থান হতে ধর্মপ্রাণ হিন্দু মুসলমান ও পর্যটকগণ আটিয়াতে প্রতিনিয়তই আগমন করে থাকেন। প্রতি বছর তাঁর মৃতু্যদিবস হিজরীর ৭ জমাদিউসানির পরবর্তী ৫ দিন মহা সমারোহে ওরস প্রতিপালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ধর্মীয় স্থান গুলির মধ্যে টাঙ্গাইলের আটিয়ার মাজার একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য ধর্মীও পীঠস্থান। এই মাজারের অদূরে তাঁর স্নেহছায়ায় পালিত সাঈদ খান পন্নী কতর্ৃক প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন মসজিদটির প্রতিকৃতি দশ টাকার নোটে উৎকীর্ণ করা আছে।
ইতিহাসের পটভূমিকায় আটিয়ার প্রাচীন ইতিহাস জানতে চাইলে সূদুরে যেতে হবে। যেহেতু না প্রাচীন কালে বাংলার শতকরা আশি ভাগই যখন বিশাল যমুনা নদীর জল রাশির তল দেশে নিমজ্জিত ছিল তখনও আটিয়া নামক ভূখন্ডটি পানির উপরে মাথা উঁচু করে জনপথ হিসেবে বিদ্যমান ছিল। এই সময় গজনী রাজ্যের সুলতান ছিলেন সুলতান সবুত্তগীনের পুত্র সুলতান মাহ্ধসঢ়;মুদ। পিতার মৃতু্যর পর সিংহাসন আরোহন করেই তিনি সুলতান উপাধী ধারণ পূর্বক বঙ্গ ভারত জয়ের অভিলাষ পোষণ করেন। তাঁর ১৭ বার ভারত আক্রমন সফল হয়েছিল বটে কিন্তু বঙ্গ ভারতে স্থায়ী রাজ্য গঠন করতে সক্ষম হন নাই। তবে বিজয়ের যে সুবর্ণ পথ রচনা করে গেছেন তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তি সুলতানগণ নিশ্চিতভাবেই সফল হয়েছিলেন। এই কৃতিত্বের সর্বাগ্রে দাবিদার সিহাব উদ্দিন মোহাম্মদ ঘোরী। তিনি সিংহাসনে উপবেশন করেই রাজ্যের নিরাপত্তা বিধান কল্পে রাজ্য বিস্তারে সবিশেষ মনোনিবেশ করেন। তাঁর পূর্বসূরি মহাবীর সুলতান মাহ্ধসঢ়;মুদের মতোই তিনিও বঙ্গ ভারত বিজয়ের একান্ত বাসনা পোষণ করেন। কঠোর পরিশ্রম ও অমিত বিক্রমের ফলোশ্রুতিতে উর্বর সমতল ভূমি ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম সুলতানি সাম্রাজ্য স্থাপন করতে সক্ষম হন। এরপর দিল্লীর গদীতে সমাসীন হন মুহাম্মদ ঘোরীর বিশ্বস্ত কৃতদাস কুতুবুদ্দিন আইবক। তিনি শিহাব উদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে আর্বিভূত হয়ে পরে দিল্লীর সুলতান রূপে আত্মপ্রকাশ করেন। কুতুবুদ্দিন তুর্কিস্তানের অধিবাসি ছিলেন। কাজী ফকরুদ্দিন কফি তাঁকে ক্রয় করে সুলতান মুহাম্মদ ঘোরীর কাছে বিক্রি করে দেন। স্বীয় সাহসিকতা, বুদ্ধিমত্তা ও কর্মদক্ষতাগুনে কুতুবুদ্দিন অল্পদিনের মধ্যেই মহম্মদ ঘোরীর অত্যন্ত প্রিয়পাত্র হন। মুহাম্মদ ঘোরী শিঘ্রই তাঁকে সেনা দরবারের বিশেষ পদে উনি্নত করেন। ভারত উপমহাদেশ অভিযানের সময় কুতুবুদ্দিন সর্বাপেক্ষা বিশ্বস্থ সেনাপতি হিসেবে প্রভুর সহিত এদেশে আগমন করেন। তরাইনের ২য় যুদ্ধের পর কুতুবুদ্দিনের উপরই ভারতের বিজিত রাজ্য সমূহের শাসন ভার অর্পন করা হয়। তিনি মিরাট, দিল্লী, রনথম্বর, কনৌজ প্রভূতি রাজ্য জয় করে স্বীয় রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটান। তারই অমীত বলশালী সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলজি বাংলা বিহার ও উরিষ্যা জয় করেন। মহম্মদ ঘোরী সুলতান উপাধী ধারন করে দিল্লীর সিংহাসনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এই বছরই সেন বংশের সর্বশেষ রাজা লক্ষণ সেনকে মাত্র ১৭ জন অশ্বারোহী সেনা নিয়ে অতর্কিতে আক্রমন করে বসেন। বৃদ্ধ রাজা রাজ প্রাসাদের পিছন দরজা দিয়ে পলায়নের সময় আহত ও নিহত হন। এই এখতিয়ার উদ্দিন মহম্মদ ঘোরী সৌভাগ্যের বরপুত্র ছিলেন। শোনা যায় তাঁর উভয় হস্ত জানু পর্যন্ত লম্বা ছিল। সেজন্য তাঁকে বলা হত আজানুলম্বিত বাহু। তাঁর রাজ্য সীমা আরাকান বার্মা (মিয়ারমার) পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এই বখতিয়ার খলজির সময় হতেই বাংলাদেশ দিল্লীর শাসনাধীনে চলে যায় এবং এটা একটা প্রদেশ হিসেবে শাসিত হতে থাকে। সুতরাং বলাই বাহুল্য আটিয়া বাংলার একটি পরগণা হিসাবে আলাদা মর্যাদা ভোগ করতে থাকে।
দিল্ল্লী কতর্ৃক নিযুক্ত সুবেদারগণ বাংলাদেশ শাসন করতে থাকেন অনেকদিন। কিন্তু মুশকিল হল অন্য জায়গায়। বাংলা হতে দিল্লী অনেক দূর। আর যোগাযোগ ব্যবস্থাও অত্যন্ত কষ্টকর। বাংলার শাসনকর্তা গণ এই সুযোগ গ্রহণ করে দিল্লীর শাসনকে অগ্রাহ্য করে স্বাধীনভাবে দেশ শাসণ করেন। উল্লেখ করতে হয় দিল্লীর বাদশাহ সুলতান ইলতুতমিশ, বলবন শা
ইতিহাসের পটভূমিকায় আটিয়ার প্রাচীন ইতিহাস জানতে চাইলে সূদুরে যেতে হবে। যেহেতু না প্রাচীন কালে বাংলার শতকরা আশি ভাগই যখন বিশাল যমুনা নদীর জল রাশির তল দেশে নিমজ্জিত ছিল তখনও আটিয়া নামক ভূখন্ডটি পানির উপরে মাথা উঁচু করে জনপথ হিসেবে বিদ্যমান ছিল। এই সময় গজনী রাজ্যের সুলতান ছিলেন সুলতান সবুত্তগীনের পুত্র সুলতান মাহ্ধসঢ়;মুদ। পিতার মৃতু্যর পর সিংহাসন আরোহন করেই তিনি সুলতান উপাধী ধারণ পূর্বক বঙ্গ ভারত জয়ের অভিলাষ পোষণ করেন। তাঁর ১৭ বার ভারত আক্রমন সফল হয়েছিল বটে কিন্তু বঙ্গ ভারতে স্থায়ী রাজ্য গঠন করতে সক্ষম হন নাই। তবে বিজয়ের যে সুবর্ণ পথ রচনা করে গেছেন তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তি সুলতানগণ নিশ্চিতভাবেই সফল হয়েছিলেন। এই কৃতিত্বের সর্বাগ্রে দাবিদার সিহাব উদ্দিন মোহাম্মদ ঘোরী। তিনি সিংহাসনে উপবেশন করেই রাজ্যের নিরাপত্তা বিধান কল্পে রাজ্য বিস্তারে সবিশেষ মনোনিবেশ করেন। তাঁর পূর্বসূরি মহাবীর সুলতান মাহ্ধসঢ়;মুদের মতোই তিনিও বঙ্গ ভারত বিজয়ের একান্ত বাসনা পোষণ করেন। কঠোর পরিশ্রম ও অমিত বিক্রমের ফলোশ্রুতিতে উর্বর সমতল ভূমি ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম সুলতানি সাম্রাজ্য স্থাপন করতে সক্ষম হন। এরপর দিল্লীর গদীতে সমাসীন হন মুহাম্মদ ঘোরীর বিশ্বস্ত কৃতদাস কুতুবুদ্দিন আইবক। তিনি শিহাব উদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে আর্বিভূত হয়ে পরে দিল্লীর সুলতান রূপে আত্মপ্রকাশ করেন। কুতুবুদ্দিন তুর্কিস্তানের অধিবাসি ছিলেন। কাজী ফকরুদ্দিন কফি তাঁকে ক্রয় করে সুলতান মুহাম্মদ ঘোরীর কাছে বিক্রি করে দেন। স্বীয় সাহসিকতা, বুদ্ধিমত্তা ও কর্মদক্ষতাগুনে কুতুবুদ্দিন অল্পদিনের মধ্যেই মহম্মদ ঘোরীর অত্যন্ত প্রিয়পাত্র হন। মুহাম্মদ ঘোরী শিঘ্রই তাঁকে সেনা দরবারের বিশেষ পদে উনি্নত করেন। ভারত উপমহাদেশ অভিযানের সময় কুতুবুদ্দিন সর্বাপেক্ষা বিশ্বস্থ সেনাপতি হিসেবে প্রভুর সহিত এদেশে আগমন করেন। তরাইনের ২য় যুদ্ধের পর কুতুবুদ্দিনের উপরই ভারতের বিজিত রাজ্য সমূহের শাসন ভার অর্পন করা হয়। তিনি মিরাট, দিল্লী, রনথম্বর, কনৌজ প্রভূতি রাজ্য জয় করে স্বীয় রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটান। তারই অমীত বলশালী সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলজি বাংলা বিহার ও উরিষ্যা জয় করেন। মহম্মদ ঘোরী সুলতান উপাধী ধারন করে দিল্লীর সিংহাসনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এই বছরই সেন বংশের সর্বশেষ রাজা লক্ষণ সেনকে মাত্র ১৭ জন অশ্বারোহী সেনা নিয়ে অতর্কিতে আক্রমন করে বসেন। বৃদ্ধ রাজা রাজ প্রাসাদের পিছন দরজা দিয়ে পলায়নের সময় আহত ও নিহত হন। এই এখতিয়ার উদ্দিন মহম্মদ ঘোরী সৌভাগ্যের বরপুত্র ছিলেন। শোনা যায় তাঁর উভয় হস্ত জানু পর্যন্ত লম্বা ছিল। সেজন্য তাঁকে বলা হত আজানুলম্বিত বাহু। তাঁর রাজ্য সীমা আরাকান বার্মা (মিয়ারমার) পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এই বখতিয়ার খলজির সময় হতেই বাংলাদেশ দিল্লীর শাসনাধীনে চলে যায় এবং এটা একটা প্রদেশ হিসেবে শাসিত হতে থাকে। সুতরাং বলাই বাহুল্য আটিয়া বাংলার একটি পরগণা হিসাবে আলাদা মর্যাদা ভোগ করতে থাকে।
দিল্ল্লী কতর্ৃক নিযুক্ত সুবেদারগণ বাংলাদেশ শাসন করতে থাকেন অনেকদিন। কিন্তু মুশকিল হল অন্য জায়গায়। বাংলা হতে দিল্লী অনেক দূর। আর যোগাযোগ ব্যবস্থাও অত্যন্ত কষ্টকর। বাংলার শাসনকর্তা গণ এই সুযোগ গ্রহণ করে দিল্লীর শাসনকে অগ্রাহ্য করে স্বাধীনভাবে দেশ শাসণ করেন। উল্লেখ করতে হয় দিল্লীর বাদশাহ সুলতান ইলতুতমিশ, বলবন শা
No comments:
Post a Comment